সুন্দরগঞ্জ (গাইবান্ধা) প্রতিনিধি:
গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার আশরাফ সীড স্টোর লিমিটেড’র চেয়ারম্যান সৈয়দা খুরশীদ জাহান স্মৃতির বিরুদ্ধে ঋণ খেলাপির জারী মোকদ্দমায় ৪ মাসের দেওয়ানী আটকাদেশ প্রদান করেছেন আদালত।
জানা যায়, গাইবান্ধার যুগ্ন-জেলা জজ ও অর্থ ঋণ ১ম আদালত’র বিজ্ঞ বিচারক সুলতান মাহমুদ সম্প্রতি এ আদেশ প্রদান করেন। আটকাদেশপ্রাপ্ত দেনদার সৈয়দা খুরশীদ জাহান স্মৃতি উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি, জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ও সুন্দরগঞ্জ আসনের সাবেক এমপি প্রয়াত মঞ্জুরুল ইসলাম লিটনের স্ত্রী। চলতি বছরের ১ আগষ্ট বিজ্ঞ বিচারক এ আটকাদেশ মঞ্জুর করেন। মোকদ্দমা সূত্রে জানা যায়, দেনদার আশরাফ সীড স্টোর লিমিটেড’র চেয়ারম্যান সৈয়দা খুরশীদ জাহান স্মৃতি ডিক্রির টাকাসহ সুদাসল মিলে ৪১ কোটি ২৯ লাখ ৮ হাজার ৪’শ ৬৭ টাকা নির্ধারিত সময়ের মধ্যে পরিশোধ না করায় বাদী ডিক্রিদার রাকাব’র সুন্দরগঞ্জ শাখা ব্যবস্থাপক টাকা আদায়ের নিমিত্ত ২৪/২০২০ নং জারী মোকদ্দমা আনয়ণ করেন। মর্মে বিবাদী দেনদারের প্রতি সমন/ নোটীশ জারী হবার পরও দাবীকৃত টাকা পরিশোধ না করে ২০২২ সালের ২৫ মে ওকালতনামা সম্পাদনে অত্রাদালতে হাজির হয়ে মোকদ্দমা খারিজের আদেশ প্রার্থনা করেন। যা পরবর্তী ৪ জুলাই শুনানী অন্তে নামঞ্জুর হয়। পক্ষান্তরে ডিক্রিদার পক্ষ দরখাস্ত দাখিলে দেনদারের বিরুদ্ধে দেওয়ানী আটকাদেশের প্রার্থনা করলে ৩৪ (১) ধারায় তা মঞ্জুর পূর্বক আটকাদেশ প্রদান করে তামিল প্রতিবেদন প্রাপ্তির জন্য আগামী ২৭ সেপ্টেম্বর ধার্য করেছেন বিজ্ঞ আদালত।
উল্লেখ্য, ৩৪ কোটি ১ লাখ ৪৪ হাজার ৩’শ ৮ টাকা খেলাপি ঋণ আদায়ে উক্ত আশরাফ সীড স্টোর লিমিটেড’র চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে বিজ্ঞ আদালতে সংশ্লিষ্ট আইনে ২৬৬/১৮ নম্বর মোকদ্দমা দায়ের করেন রাকাব’র এ শাখা ব্যবস্থাপক। মর্মে বিজ্ঞ আদালতের আদেশক্রমে পত্রিকায় প্রকাশিত নিলাম বিজ্ঞপ্তি মোতাবেক উল্লিখিত দিনক্ষণে নিলাম অনুষ্ঠিত হয়নি বলে জানা যায়।
এব্যাপারে আশরাফ সীড স্টোর লিমিটেড’র চেয়ারম্যান সৈয়দা খুরশীদ জাহান স্মৃতির ব্যবহৃত মোবাইলফোনে একাধিকবার কল করা হলে তাঁকে পাওয়া যায়নি।
একাধিকবার কথা বলার চেষ্টা করা হলে রাকাব’র সুন্দরগঞ্জ শাখা ব্যবস্থাপক ব্যস্ততার কথা বলে মোবাইলফোনের সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেন। জোনাল ম্যানেজার মোহাব্বত আলী জনান, আইনগত সংবিধিবদ্ধতা থাকায় কিছু বলা যাচ্ছেনা। তবে, আমরা ব্যাংকের চাকরি করি। সেক্ষেত্রে ব্যাংককে রক্ষা করা আমাদের দায়িত্ব। বিজ্ঞ আদালতের তামিলকৃত পরোয়ানা থানায় পৌঁছেছে। তাই, থানা থেকেও জানতে পারবেন। বাদী (রাকাব) পক্ষের আইনজীবি এ্যাড. শাহাদৎ হোসেন লাকু সত্যতা স্বীকার করে জানান, বিবাদীর বিরুদ্ধে থানায় ওয়ারেন্ট পৌঁছে গেছে।
থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি, তদন্ত) মিলন কুমার চ্যাটার্জী বলেন, এ ব্যাপারে তাঁর কিছুই জানা নেই।